কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রদত্ত সেবা সমুহু

১। সার্বিক প্রজনন স্বাস্থ্য পরিচর্যার আওতায় অন্ত:সত্ত্বা মহিলাদের প্রসব-পূর্ব ( প্রতিরোধক টিকা দানসহ), প্রসবকালীন এবং প্রসব-উত্তর ( নব-জাতকের সেবাসহ ) সেবা।

২। সময় মত প্রতিষেধক টিকাদানসহ ( যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিং কফ, পোলিও, ধনুষ্টংকার, হাম, হেপাটাইটিস -বি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি ) শিশু ও কিশোর কিশোরীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা।

৩। জনগনের বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের অপুষ্টি দূরীকরণের জন্য ফলপ্রসূ ব্যবস্থা গ্রহন ও সেবা প্রদান।

৪। ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, কালা-জ্বর, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং উহাদের সীমিত চিকিৎসা সুবিধা।

৫। সাধারন জখম, জ্বর, ব্যথা, কাটা/পোড়া, দংশন, বিষক্রিয়া, হাঁপানি, চর্মরোগ, ক্রিমি এবং চোখ, দাঁত ও কানের সাধারন রোগের ক্ষেত্রে লক্ষণ ভিত্তিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান ।

৬। অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সংক্রান্ত বিভিন্ন উপকরন, যেমন- কনডম, পিল, ইসিপি ( জরুরী গর্ভ নিরোধক ) ইত্যাদি সার্বক্ষনিক সরবরাহ ও বিতরন নিশ্চিকরণ।

৭। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে (UHFWC)  কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (FWV) নির্দিষ্ট সময় অন্তর কমিউনিটি ক্লিনিকে এসে আগ্রহী মহিলাদের আইইউডি (IUD) স্থাপন এবং/অথবা ইনজেকশন প্রদান।

৮। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে জটিল কেইসগুলিকে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক সেবা প্রদান পূর্বক দ্রুত উচ্চতর পর্যায়ে রেফার করা।

৯। ক্লিনিকে আগত সেবা গ্রহণকারীদের জন্য স্বাস্থ্য-সম্মত জীবন যাপন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্যানিটেশন, সুষম খাদ্যভ্যাস, টিকার সাহায্যে রোগ প্রতিরোধ, ক্রিমি প্রতিরোধ, বুকের দুধের সুফল, ডায়রিয়া প্রতিরোধ, পুষ্টি সস্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি, পরিবার পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা ও উহার বিভিন্ন পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কিত আচার-আচারন ও দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন (BCC)  বিষয়ে গ্রুপভিত্তিক পরামর্শ দানের ব্যবস্থা।

১০। ১৫-৪৯ বৎসর বয়সের সন্তান ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মায়েদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও টিকা প্রদান করা।

১১। জন্মের ২৮ দিনের মধ্যে শিশুর জন্মনিবদ্ধন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও সহায়ক সুপারভিশন করা।

১২। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহন করা, মহামারী নিয়ন্ত্রনে অংশগ্রহন করা;

১৩। যেকোন স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা সমাধানে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করা।

১৪। সদ্য বিবাহিত ও অন্ত:সত্ত্বা মহিলাদের নিবন্ধিকরন ও সম্ভাব্য প্রসব-তারিখ সংরক্ষন।

১৫। সদ্য প্রসবকারিনী ( ৬ সপ্তাহের মধ্যে ) এবং শিশুদের ( বিশেষতঃ মারাত্বক অপুষ্টি, দীর্ঘ মেয়াদী ডায়রিয়া বা হামে আক্রান্ত ) ভিটামিন- এ ক্যাপসুল প্রদান।

১৬। প্রসবের অব্যবহিত পর থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শাল দুধ সহ কেবল মাতৃ-দগ্ধ খাওয়ানো পরামর্শ দেওয়া।

১৭। মহিলা ও কিশোর-কিশোরীদের রক্তস্বল্পতা সনাক্ত করা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান।

১৮। এক থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের ৬ মাস পর পর প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিটামিন-এ খাওয়ানো এবং রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের খুজে বের করা এবং তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

১৯। আয়োডিনের স্বল্পতা, ক্রিমি, শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমন ( ARI ), যক্ষা ((DOTS সহ), কুষ্ঠ (MDT পর্যানুসরন), ম্যালেরিয়া, ত্বকের ছত্রাক ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা কিংবা উচ্চতর হাসপাতাল/ক্লিনিকের ব্যবস্থাপত্র অনুসরণে ঔষধ প্রদান ।

২০। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদেরকে ও.আর.এস. এর সাহায্যে চিকিৎসা করা।

২১। বাড়ীতে ডায়রিয়ার চিকিৎসা প্রদান  এবং খাওয়ার স্যালাইন প্রস্তুত ও ব্যবহার পদ্ধতি সম্বন্ধে শিক্ষা দান।

২২। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন প্রাপ্তি সাপেক্ষে গর্ভনিরোধক ইনজেকশন এর ২য় এবং পরবর্তী ডোজ প্রদান।

২৩। স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি (NSV, tubectomy, IUD, implant) সম্পর্কে সক্ষম দম্পতিদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং পদ্ধতি গ্রহণের জন্য উপজেলা/ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রেরণ।

২৪। নবজাতক ও শিশুদের বিপদজনক লক্ষণ ও অত্যাবশ্যকীয় যত্ন সম্নন্ধে মা/অভিভাবকদের সচেতন করা।

২৫। বাড়ীতে গিয়ে এবং নির্দিস্ট সময় অন্তর দূরবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদান করা।

২৬। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন এবং ব্যবস্থাদি থাকা সাপেক্ষে স্বাভাবিক প্রসব পরিচালনা করা।

২৭। যৌনতা, নিরাপদ যৌন সম্পর্ক এবং বালিকা/মহিলাদের বিশেষ বিশেষ পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি।

২৮। প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে সুস্থ জীবন-যাপনে পরামর্শ (Counseling)  ও সহায়তা প্রদান ।

২৯। ওয়ার্ড/কমিউনিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন।

৩০। রজঃ নিবৃত্তি কালীন সমস্যাদির বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা এবং প্রয়োজনে রেফার করা।

৩১। পুষ্টি হীনতা প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যবিধি এবং খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান।

৩২। সংক্রামক রোগ ও ছোঁয়াচে রোগ প্রতিরোধে স্তর অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

৩৩।  আপদকালীন ও জরুরী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্তর অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।